শিরোনাম
কালুখালীতে পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বালিয়াকান্দিতে অবৈধজাল উদ্ধারে মৎস্য দপ্তরের অভিযান বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ গোয়ালন্দে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিলেন মুদি দোকানের কর্মচারী, আ. লীগের পদ পেয়েই গড়েছেন সম্পদের পাহাড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডুকে মারপিটের ঘটনায় মামলা করে নিরাপত্তা হীনতায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান  বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল সম্পাদক কামরুল ইজিবাইক চাপায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু মানিকগঞ্জ কুকুরের কামড়ে একদিনে আহত ৮২, জনমনে আতঙ্ক সরকারি কলেজের প্যাডে নোটিশ জারি করে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করলেন অধ্যক্ষ

দৌলতদিয়া যৌন পল্লীর নারী নেত্রী ৬ দিন ধরে নিখোঁজ, উদ্বেগে স্বজন ও পল্লীবাসিরা-

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

0Shares

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেশের সর্ববৃহৎ যৌনপল্লী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া। এই যৌন পল্লীর বাসিন্দা ‘এম.এম.এস’-,এর নারী নেত্রী লিলি বেগম (৩৮) গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘মুক্তি মহিলা সমিতি’র (এমএমএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি। তার নিখোঁজের ঘটনায় মুক্তি মহিলা সমিতি, স্বজন ও যৌনপল্লীবাসীরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।

তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ হতে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্হানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।পাশাপাশি লিলি বেগমের ভাগনে শাফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা যায়, লিলি বেগম গত ১০ নভেম্বর তার কথিত স্বামী দৌলতদিয়া সামসু মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা লতিফের বাড়ীতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন। ওইদিন বিকালে লিলি বেগম বাড়িতে না ফেরায় তার পল্লীর বাড়ির ভাড়াটিয়া পুষ্প ও ঝর্ণা মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু লিলির মোবাইল বন্ধ থাকায় তারা লিলির আত্মীয় স্বজনদের নিকট বিষয়টি জানায়। স্বজনরাও নানাভাবে খোঁজ করে ব্যার্থ হন।যে কারনে লিলির বোনের ছেলে মোঃ শফি ইসলাম ১২ নভেম্বর এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ছাড়া ১৫ নভেম্বর মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ স্হানীয় প্রশাসনের নিকট লিলি বেগমকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।

এ বিষয়ে নিখোঁজের কথিত স্বামী লতিফ শেখ বলেন, লিলি বেগমের সাথে আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের সুবাদে সে আমার বাড়ীতে দাওয়াত খেতে আসে। খাবার শেষে সে চলে যেতে চাইলে আমার ছেলেকে দিয়ে তাকে রিক্সায় উঠিয়ে দিই। এরপর থেকে আমার সাথেও তার আর কোন যোগাযোগ হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মর্জিনা বেগম বলেন, লিলি বেগম অত্যন্ত ভালমনের একজন মানুষ। তিনি পল্লীর অসহায় নারী ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। এ জন্য তার হয়তো কোন শত্রু সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। এভাবে তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার অপারেশন অফিসার এসআই জাকির হোসেন বলেন, নিখোঁজ লিলি বেগমকে উদ্ধারে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সকল ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি।পাশাপাশি তার নিখোঁজ হওয়ার সম্ভাব্য কারনগুলাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg