স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহিন মোল্লার বিরুদ্ধে শারিরীক প্রতিবন্ধী মো. ওমর আলীর ১৫ শতাংশ জমি (৮৭ নং মৌজা প্রস্তাবিত ৮৯২/২ নং খতিয়ানের ২২৯৩ নং দাগের বাড়ির জমি ৯৩ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ) প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ।
বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী ওমর আলী ও তার পরিবার।
এসময় সাংবাদিকদের সামনে লিখিত অভিযোগ পড়ে শোনান তার ছেলে সৌদি প্রবাসী রেজাউল করিম মোল্লা।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রতিবন্ধী ওমর আলীর জমি ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় জমি মাপার জন্য কাউন্সিলর হিসেবে শাহিন মোল্লার কাছে যায়। কাউন্সিলর বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে তাকে ঘুরাতে থাকে এবং আরেকজনের কাছে ভোগ দখলে দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এমতাবস্থায় আমি জমি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন ওমর আলী। এই সুযোগে কাউন্সিলর তার নিকট জমি বিক্রি করতে বলায় প্রতি শতাংশ জমি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দরে মোট ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। কাউন্সিলর ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ১ লক্ষ টাকা প্রদান করে চক্রান্ত করে সাব রেজিস্ট্রী অফিসে গিয়ে দলিল লেখক দিয়ে কাউন্সিলের নামে পাওয়ার অফ এটর্নি নামায় সাক্ষর করিয়ে নেয়। এমতাবস্থায় সেই জমি পাওয়ার অফ এটর্নির বলে কাউন্সিলর জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। জমি বিক্রির টাকা ওমর আলীকে দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে এখন প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ ঘটনা গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলামের কাছে জানালে কাউন্সিলরকে ডেকে টাকা অথবা জমি ফেরত দিতে বললেও তিনি ফেরত দেননি।
প্রতিবন্ধী ওমর আলী এর সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা করেন।
এব্যাপারে, অভিযুক্ত শাহিন মোল্লা মুঠোফোনে জানান, ওমর আলীর আমাকে ৮ শতাংশ জমি দিতে চাইলেও জমি বুঝিয়ে দিয়েছে ৫ শতাংশ। আমার সাথে চুক্তি অনুযায়ী সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দর দাম ঠিক হয়। আমি তাকে ১লক্ষ টাকাও দেই কোন প্রকার স্ট্যাম্প ছাড়া। আর বাকি আড়াই লক্ষ টাকা জমি বুঝে পাওয়ার পর দেওয়ার কথা। ওমর আলী যে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। ওমর আলীকে দিয়ে অন্যকেউ আমাকে হেও করার জন্য এমনটা করছে। আমার নির্বাচনের সময় যে পক্ষ বিরোধিতা করেছে তারাই এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।