স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজবাড়ীর পাংশায় বছর না পেরোতেই সড়ক ধসে নদীতে । সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ স্থানীয়দের। তথ্য দিতে প্রকৌশলীর তালবাহানা।
উপজেলার পৌর শহরের পান্নানপুর তিন রাস্তার মোড় থেকে মৌকুরী মোল্লাপাড়া বাজার সড়কে ধস নেমেছে। সড়কটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চন্দনা নদী। সড়কটির মোল্লাপাড়া এলাকায় ধসে পরেছে নদীতে। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নে যাতায়াত করা যায়। এছাড়াও হাবাসপুর ইউনিয়নের বেশকয়েকটি গ্রামের মানুষ নিত্যপ্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করে থাকে এই সড়ক। প্রতিদিন শতশত যান চলাচল করে এই সড়কে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোল্লাপাড়া বাজার সংলগ্নে সড়কটির প্রায় ৮০ মিটার সড়কের একাংশ ধসে গেছে চন্দনা নদীতে।
এ সময় স্থানীয় পরিচয়ে মো. লোকমান নামের এক ব্যাক্তি বলেন, ছয় থেকে সাত মাস আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। সড়ক সংস্কারের সময় নদীর পাশ দিয়ে পিলার গেড়ে উচু করে বাধ দিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু বাধ অনেক নিচু করে দেওয়ার কারণে বেশি দিন টেকেনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যে নদীতে ধসে গেছে। আমরা বার বার বলা শর্থেও বিষয়টি আমলে নেইনী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ভ্যান চালক রফিক মোল্লা বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি। সড়কটি বিপদ জনক হয়ে পড়েছে। ধসে পড়ার পর আবার নতুন করে অর্ধেকের বেশি যায়গাজুড়ে ফাটল ধরেছে। সেটুকু ধসে গেলে এই সড়ক দিয়ে আর চলাচল করা সম্ভব হবে না।
এবিষয়ে সড়কটির সংস্কার কাজের প্রাক্কালীন ব্যয় ও কাজ সমাপ্তির সময় সহ বিষয় নিয়ে জানার জন্য উপজেলা স্থানীয় সরকার পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসানের কাছে গেলে তিনি জানান, কাজটি উপজেলা চেয়ারম্যান করেছে। তবে কাজটির তথ্য না দিতে বিভিন্ন ভাবে এড়িয়ে যান তিনি।একাধীকবার যোগাযোগ করা হলে একপর্যায়ে উপসহকারী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাকিমের সাথে একাধীকবার যোগাযোগ করা হলে, তথ্য না দিতে বিভিন্ন তালবাহানা করেন তিনি।
ঠিকাদার, পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, সড়কটি সংস্কার করা হয়েছ। আমার বেশকিছু বিলও আটকা রয়েছে। তবে সড়টির যে জায়গাটুকু ধসে গেছে তা পুনরায় ঠিক করে দেওয়া হবে।