শিরোনাম
রাজবাড়ী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা: ৯৬ জনের নাম, অভিযুক্তদের তালিকায় আইনজীবী–রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাও গোয়ালন্দে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার গোয়ালন্দে অরিয়েন্ট জুটমিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রাজবাড়ী-২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন দাবিতে আমরণ অনশন গোয়ালন্দে জামায়াতে ইসলামী’র রুকন ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত গোয়ালন্দে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা গোয়ালন্দে বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যু গোয়ালন্দে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর সরকারি বাসভবনে চুরি

গোয়ালন্দে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত।

স্টাফ রিপোর্টার / ৯০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

0Shares

স্টাফ রিপোর্টার” গোয়ালন্দ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া থেকে শুরু হয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অনুষ্ঠিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে উৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা সভাকক্ষে একটি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাশেদুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রায়হানুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু বকর, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন শেখ, সাবেক সভাপতি মো. সুলতান নুর ইসলাম মুন্নু মোল্লা, ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা, উপজেলা জামায়াতে ইসলামের নেতা আজম মীর মালত এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি , ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগসহ প্রতিটি মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয় যে, এই বছর গোয়ালন্দ উপজেলায় মোট ২৫টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা ও ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, প্রধান নির্দেশনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

প্রতিমা বিসর্জন সূর্যাস্তের আগেই সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পূজামণ্ডপ এলাকায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার মোতায়েন থাকবে।

বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নৌ-পুলিশ কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল প্রস্তুত রাখা হবে। প্রবেশ ও নির্গমন পথে পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে।

প্রতিটি পূজামণ্ডপে দিনে কমপক্ষে ৩জন ও রাতে ৪জন করে স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার নিয়োগ করতে হবে।

আজান ও নামাজের সময় পূজামণ্ডপে শব্দ যন্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয় ।

নতুন পূজামণ্ডপ স্থাপনের ক্ষেত্রে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

পূজামণ্ডপের আশপাশে মাদক সেবনকারী বা অন্য কোনো অনৈতিক কার্যকলাপ পেলে যথাসময়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

থানার অফিসার ইনচার্জদের পূজা কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে পারে।উ

পজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান সভায় উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বলেন, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগিতা জরুরি। প্রশাসন এবং কমিটিগুলো একসঙ্গে কাজ করলে উৎসব সফল ও নিরাপদভাবে চলবে।

উক্ত নির্দেশনা ও ব্যবস্থাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং সহযোগিতা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg