স্টাফ রিপোর্টার”রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পদ্মা নদীর ইলিশ দেশজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছে। কিন্তু ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা শুরু হলেও, প্রচার-প্রচারণার ঘাটতির কারণে এ উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবছরের মতো এবারও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নদীপাড়ে মাইকিং, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, সভা-সমাবেশ আয়োজন, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং বিভিন্ন পরিবহন ও মৎস্যজীবী সংগঠনকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে গোয়ালন্দে এসব কার্যক্রমের বেশিরভাগই অনুপস্থিত।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার আড়তদার শাজাহান শেখসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কেবল গতকাল বিকেলে সামান্য মাইকিং করা হয়েছে। কোনো পোস্টার বা লিফলেট বিতরণ চোখে পড়েনি। মৌসুমি জেলেরা জানান, প্রতিবছর প্রচারণা ও সচেতনতামূলক সভা হয় কিন্তু এবার তেমন কিছুই দেখা যায়নি।
এদিকে, মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, মজুত ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এ সময় আইন ভঙ্গ করলে প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে অভিযান চালাবে। পাশাপাশি, ঋণপ্রাপ্ত জেলেদের জন্য এনজিওগুলোকে কিস্তি আদায় স্থগিত রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া সাত্তার মেম্বারপাড়া ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় কিছু জেলে নতুন করে অবৈধ কারেন্ট জাল তৈরি করছেন। আবার অনেকে নৌকা ও ইঞ্জিন মেরামতের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, টাস্কফোর্সের সভা হয়েছে এবং কিছু ব্যানার টাঙানো ও মাইকিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে ব্যানার লাগানো হয়েছে, কিছু ছবি পাঠিয়েছি। তবে সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার কয়েকটি স্থানে ব্যানার থাকলেও লিফলেট বা বড় পরিসরে প্রচারণা দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রতি বছর প্রচার প্রচারণার জন্য বাজেট বরাদ্দ থাকলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এর আগেও জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের কর্মসূচি কেবল ব্যানার টাঙানোর মধ্যেই সীমিত ছিল।